হযরত শাহ জালাল (রঃ) মাজার জিয়ারত প্রসঙ্গ কথা
হযরত শাহজালাল মাজার জিয়ারত সিলেট ভ্রমনের ইচ্ছা পোষন করলেই প্রথমেই চলে আসে। বাংলাদেহের বিভিন্ন প্রান্ত হতে ভক্তরা ছুটে আসে শাহজালাল মাজার জিয়ারত করতে । মুসলমান তো আছেই সাথে অন্যান্য ধর্মাভলম্বিরাও হুজুরের রুহানি ফয়েজ নিতে দুর-দুরান্ত থেকে প্রতিদিন ই আসতে থাকে শাহজালাল মাজার জিয়ারত করতে ।
হজরত শাহজালাল (রঃ) এর মাযার সিলেট শহরে খ্যাতনামা স্হান। আজ থেকে ৬০০ বছরের বেশি আগে তিনি মারা গিয়েছেন। তবুও মাযার জিয়ারত করার জন্য অনেক দূর থেকে অসংখা ভক্ত বিভিন্ন স্হান থেকে এখানে আসেন । ইতিহাসবিদগণের মতে তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে দিল্লী হতে এখানে এসেছিলেন ও হিন্দু রাজা গৌর গোবিন্দকে পরাজিত করে সিলেট-এ স্হায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ সিলেট । প্রকৃতি আপন মনে পুরো সিলেটকে সাজিয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি রয়েছে মানুষের সৃষ্টি স্থাপনা। এখানে ঘুমিয়ে রয়েছেন অলি-আউলিয়াগণ । এজন্য সিলেট কে অলি আউলিয়ার দেশও বলা হয় ।
ঢাকা থেকে হযরত শাহজালাল (রঃ) এর মাজার জিয়ারত এ যাবার ব্যবস্থাঃ
শাহজালাল মাজার জিয়ারত এর উদ্দেশ্যে আপনি ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন এবং বিমানে সরাসরি সিলেট যাওয়ার যেতে পারবেন। এসি এবং ননএসি দুধরনের বাসই চলাচল করে। ঢাকা থেকে গ্রীণ লাইন, সোহাগ পরিবহন, ইউনিক,হানিফ এন্টারপ্রাইজ এবং ঈগল পরিবহন নিয়মিত চলাচল করে সিলেটের উদ্দেশ্য। ভোর ৫ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত গাড়ীগুলো কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে সড়ক পথে সিলেট পৌছাতে সময় লাগে ৫ ঘন্টা ৪৫ মিনিট। ঢাকা থেকে সিলেট রুটে নিয়মিত চলাচল করে জয়ন্তিকা এবং উপবন ট্রেন। ঢাকা থেকে আকাশপথে বাংলাদেশ বিমান, জিএমজি এবং জেট এয়ারওয়েজের মাধ্যমে যাতায়াত করা যায়।
থাকার ব্যবস্থাঃ
Jaintia Hill Resort এ বুকিং এর মাধ্যমে আপনি প্যাকেজ হিসাবে শাহজালাল মাজার জিয়ারত করতে পারবেন।যদিও শাহজালাল (রঃ) এর মাজার জেয়ারত Jaintia Hill Resort আসার পথে করতে পারেন অথবা যাবার পথেও করতে পারবেন। সুতরাং পছন্দ যখন আপনার, সিদ্ধান্তও আপনাকে নিতে হবে।
শাহজালাল মাজার জিয়ারত ও সিলেট সফর
হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে যখন আপনি সিলেট সফর করবেন অনুরুধ থাকবে নিম্নে উল্লেখ যোগ্য ঐতিহাসিক স্থান গুলু ভ্রমন করার ।
১। হযরত শাহ জালাল (রহ:) এর দরগা২। হযরত শাহ পরান (রহ:) এর দরগা
৩। চা-বাগান
৪। জাফলং
৫। জৈন্তাপুর রাজাবাড়ী
৬। খাসিয়া পল্লী
৭। আলী আমজাদের ঘড়ি ঘর
৮। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত
৯। শ্রীমঙ্গল
১০। চৈতন্য দেবের মন্দির
১১। শাহী ঈদগাঁ
১২। গৌর গোবিন্দের দূর্গ
১৩। শ্রীপুর
১৪। লাউয়াছড়া বন
১৫। সুরমা ভেলী
১৬। তামাবিল স্থল বন্দর