লাউয়াছড়া (Lawachara) ভানুগাছ বন:
লাউয়াছড়া (Lawachara) সুন্দরবনের পরেই এর স্থান । মৌল্ভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় এটি অবস্থিত। ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চলে বৃক্ষায়ন করলে ধীরে ধীরে তা আজকের এ ২য় সুন্দরবনে পরিণত হয়।
2740 হেক্টর জায়গা নিয়ে লাউয়াছড়া (Lawachara) বন । পূর্বে এর নাম ছিল ভানুগাছ বন বা ভানুগাছ সংরক্ষিত বন । বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ দপ্তরের অধীনে ফরেস্ট রেঞ্জ এর আওতাধীন একটি সংরক্ষিত এলাকা লাউয়াছড়া (Lawachara)। পর্যটন ও প্রকৃতির কথা বিবেচনায় পূর্বের ভানুগাছ বনের 1250 হেক্টর এলাকা কে 1974 সালের (বন্যপ্রানী সংরক্ষন ও সংশোধন আইন) অনুযায়ী 1996 সালে “জাতীয় উদ্যান” নামে ঘোষনা করা হয়।
লাউয়াছড়ার আকর্ষনঃ
প্রকৃতি ও জীব জন্তু লাউয়াছড়া (Lawachara) বনের প্রধান আকর্ষন। 460 প্রজাতির যেমন আগর, চাপলিশ, আকাশমণি, সেগুন, জারুল, আওয়াল এবং লোহাকাঠের মত দূর্লভ উদ্ভিদ। পাখির প্রজাতি আছে 240 ধরনের। স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপ প্রানী আছে যথাক্রমে 20 ও 6 প্রজাতির।
সাদা বানর মানে লজ্জাবতী বানর, হনুমান, সজারু, শিয়াল, মেছো-বাঘ, চিতা বিড়াল, কাঠবিড়ালি, বন্য কুকুর, বনবিড়াল, সজারু, বনরুই, বনমোরগ, বাঘডাশ, অজগর সাপ, কানা সাপ, গুই সাপ, বনবিড়াল (টলা-সিলেটের ভাষায়), বিরল প্রজাতীর উল্লুক ইত্যাদি দেখতে পাবেন লাউয়াছড়া জঙ্গলে। পাখির মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যেমন ময়না, শালিক, মতুরা, ধনেশ, বাদামী ঘুঘু, সবুজ ঘুঘু, মথুরা ইত্যাদি অন্যতম । এশিয়ার মধ্যে বিরল ক্লোরোফোর্মের গাছ রয়েছে এখানে যা সতিই আকর্ষণীয়।
লাউয়াছড়া (Lawachara) বোনাসঃ
দুপাশে ঘন বন আর তারই মাঝখান দিয়ে ট্রেন এর রাস্তা অসাধারন । তাছাড়া এখানে খাসিয়া ও মুণিপুরী দু’জাতির উপজাতিদের বসবাস মুণিপুরীদের আকর্ষণীয় নাচ ও গান এখানকার আকর্ষণ অনেকটা বৃদ্ধি করেছে। তাদের একটি এতিহ্য হচ্ছে কাপড় বোনা। আপনি এখান থেকে হস্তশিল্প, উলের তৈরি শাল, শাড়ী, নেপকিন, বিছানার চাদর এবং কিছু ব্যাগও কিনতে পারেন। খাসিয়া উপজাতিদের গ্রামগুলো পাহাড়ের উচ্ভুতে ও গভীর বনের মধ্যে যা শহর থেকে অনেক দূরে । লাউয়াছড়া বনকে বলা হয়ে থাকে প্রকৃতির স্বর্গের রাজ্য যা আপনাকে ভ্রমনে প্রশান্তি এনে দিবে।
Lawachara Location Map:
ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার হয়ে শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দুরত্বে ভানুগাছ বন বা লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বন। নিম্নে লোকেশন ম্যাপ ধরে পৌছাতে পারেন।