শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) চা রাজধানী:
শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) যেখানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চা বাগান আছে যা সবুজ কার্পেট নামে খ্যাত। এখানে চা গবেষণা কেন্দ্র ও একটি চা উৎপাদনের কারখানা আছে ।
প্রতি বছর বাংলাদেশের উৎপাদিত মানসম্মত চায়ের একটি বিরাট অংশ বিদেশে রপ্তানী হয়ে থাকে। শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) এর অধিকাংশ জায়গা জুড়েই চা বাগান চোখে পড়বে।যদি আপনি চা বাগানে থাকার বাবস্হা করতে পারেন তাহলে সে ভ্রমণটি আপনার স্মৃতিময় হয়ে খাকবে। শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) এ রেস্ট হাউজ অথবা অন্যান্য অনেক জায়গা আছে থাকার জন্য।
শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) সবুজের সমারোহ, নিবিড় অরন্য, পাহাড়, পর্বত আর সবুজ চা বাগান মনরোম নয়ন জূড়ানো সৌন্দর্য নিয়ে বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থান করছে।
চা কন্যা ভাস্কর্য (Tea Daughter):
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের সুচনা টা আপনি “চা-কন্যা” ভাস্কর্য দেখে শুরু করবেন । অসাধারন কারুকাজ, ধব ধবে সাদা এ ভাস্কর্য আপনার নজর কাড়তে কার্পন্য করবেনা । চা বাগানের প্রধান শ্রমিকরা হচ্ছে কুলি সম্প্রদায় । পরুষ থেকে মহিলা শ্রমিক রা বাগানে কাজ করে বেশি । চা গাছের নতুন কুঁড়ি গুলু পিঠের সাথে বাঁধা খাচায় ক্যারাটে কসরতে তুলতে সবাই দেখে থাকেন । আর এ মহিলা শ্রমিকরা হচ্ছে চা বাগানের মুল চালিকা শক্তি ।
এ শক্তিকে চির অম্লান রাখতে জেলা প্রশাসন ও সাতগাও চা বাগান কর্তৃপক্ষ মিলে এই “চা কন্যা ভাস্কর্য” টি নির্মান করেন । একজন চা শ্রমিক তরুনী বাগান থেকে চা তুলতেছে ভাস্কর্য টি তাই বুঝাতে চাচ্ছে । চা-কন্যা কে অতিক্রম করলেই আপনার চা বাগান ভ্রমন শুরু । বিশাল সাত গাও চা বাগান দেখে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা । অল্প কিছু দূর গেলেই শ্রীমঙ্গল চা বাগান ।
শ্রীমঙ্গলে কি কি দেখতে পাবেন
- একের পর এক চা বাগান,
- রেইন ফরেস্ট লাউয়াছড়া,
- চা গবেষণা ও প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র,
- মাগুর ছড়া গ্যাস কূপ,
- উপজাতি মনিপুরি পাড়া ও খাসিয়া পুঞ্জি,
- লাউয়া ছড়া ইন্সপেকশন বাংলো,
- হিন্দুদের পুজা অর্চনা আর তীর্থ স্থান (নিমাই শিব বাড়ি),
- ডিনস্টম সিমেন্ট্রি ,
- টি- রিসোর্ট,
- ভাড়া উড়া লেক
- পাহড়ী ঝর্না ,
- হাজার প্রজাতির গাছ-গাছালি
- চা কন্যা ভাস্কর্য ।
শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) এ শিতের শুরুতে সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসা ঝাকে ঝাকে অথিতি পাখি দেখে মনে হবে যেন এ এক পাখি রাজ্য অথবার পাখির মেলা । শ্রীমঙ্গলে “হাইল-হাওর” নামে একটি হাওর আছে যা বাংলাদেশের মৎসভান্ডার বলে পরিচিত ।
স্বাধীন ভাবে বসবাসরত পাহাড়ি উপজাতি খাসিয়া, মণিপুরি, গারো ও টিপরাদের জীবন জাপন দেখতে পাবেন। গড গিফটেড ন্যাচার মানে প্রকৃতিই হচ্ছে শ্রীমঙ্গলের প্রান । আনারস, পান, রাবার, আর লেবু , মুল্যবান কাঠ ইত্যাদিও চা- এর সাথে পাল্লা দিয়ে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে । ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি শ্রীমঙ্গলের নাম কে করেছে জনপ্রিয়।
ভ্রমন পাগলের তীর্থস্থান বলা যেতে পারে শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) কে । প্রকৃতি পূজারীদের সঠিক গন্তব্যের নাম শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) । প্রতিদিন হাজারো নতুন নতুন দেশি-বেদশি মুখ তাদের নয়ন তৃপ্তি লাভে ছোটে আসে এখানে । পূরানোরা তো আছেই, বছর দুবছরে রিকেপ গুলু দেখে ।
পর্যটকদের কথা বিবেচনায় গড়ে উঠেছে অনেক সরকারি বা বেসরকারি হোটেল, রেস্তরাঁ এবং রিসোর্ট । টী-বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে “টি-রিসোর্ট” নামে একটি রিসোর্ট । এই রিসোর্টের অভ্যন্তরে চা জাদুঘর নামে তিনটি কক্ষ বরাদ্ধ আছে।
আর এ কারণে শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) এ গড়ে ওঠেছে অনেক আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরা। সরকারি, আধা-সরকারি সংস্থার একাধিক রেস্টহাউজ ও চা বোর্ড পরিচালিত একটি ‘টি রিসোর্ট’। এ জনপদের সঙ্গে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) আকৃষ্ট করেছে অগণিত পর্যটককে।
শ্রীমঙ্গ (Sreemangal) চা জাদুঘরঃ
প্রথম দিকে টি- রিসোর্টের একটি ভবনের তিনটি ঘর নির্ধারণ করে সে ঘরগুলোয় সংগৃহীত প্রাচীন এসব জিনিসপত্র আনার কাজ চলে। পরে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চেয়ার, চা শ্রমিকদের জন্য ব্যবহূত বিশেষ কয়েন, কম্পাস, ঘড়ি, পাম্প টিউবওয়েল, খাট, টেবিল, আয়রন ব্যাম্বো স্টিক, ব্রিটিশ আমলের ফিলটার, চা গাছের মোড়া ও টেবিল, পাথর হয়ে যাওয়া আওয়াল গাছের খণ্ড, প্রোনিং দা, প্লান্টিং হো, দিকনির্ণয় যন্ত্র, ফসিল, লোহার পাপস, ঘটি, ব্রিটিশ আমলের পাখা, কাটা কুদাল, টাইপ রাইটার, কয়েন পাথরের প্লেট।
এবং লোহার ফ্রেম টেবিল, প্রনিং নাইফ, ইলেকট্রিক ফ্যান, ফর্ক, সার্ভে চেইন, রেডিও, সিরামিক ঝাড়, ডয়ারের অংশ, বাট্টার ডিল, রাজনগর চা-বাগানের নিজস্ব কয়েন, ব্রিটিশ আমলে লন্ডন থেকে আনা ওয়াটার ফিলটার, রিং কোদাল, তীর-ধনুকসহ নাম না-জানা আরও কিছু সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এখনো সংগ্রহের কাজ চলছে। স্থপতিদের দিয়ে পরিকল্পনা করে চা জাদুঘরে মূল্যবান এসব সামগ্রী রাখা হয়েছে ।- সুত্রঃ
তবে এখানে থাকার জন্য আগে থেকে বাগানের মালিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়
কিভাবে শ্রীমঙ্গল আসবেনঃ
বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চলের স্টার্টিং পয়েন্ট হচ্ছে রাজধানী ঢাকা । আর ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের দুরত্ব 195 কিলোমিটার । আবার রেল পথে হচ্ছে 231 কিলোমিটার । আপনি ঢাকা থেকে সরাসরি শ্রীমঙ্গলে আসতে পারেন আবার মৌলভীবাজার হয়েও আসতে পারেন। ঢাকা থেকে দূর পাল্লার বাস ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ, মহাখালি স্টেশন থেকে আসে । 4 থেকে 5 ঘন্টা জার্নি করতে হবে । এসি নন-এসি বিভিন্ন কোম্পানীর বাস সার্ভিস চালু আছে ।
সুবিধার জন্য লকেশন ম্যাপের সহায়তা নিতে পারেন
Summary:
“You can start a tour of Srimangal’s tea garden by looking at the ‘tea-daughter’ sculpture. A young labourer is raising tea leaves in the garden. The white sculpture created in this manner will capture a sight at the entrance of Srimangal. Moulvibazar District Administration has created this beautiful sculpture in collaboration with the Satgaon Tea Garden and the Satgaon Tea Garden in a wide area in front of the ‘Tea-Kanya’. Shrimangal city is not far from ‘Tea-Daughter’.
Finlay tea garden will be visible only after the small town is backed up on the Bhanugach road. Finlay Tea Garden, along with the BTRI’s own garden, extends southward from the Tea Research Institute (BTRI). The Jerin T-Estate is just a few kilometres along the right-hand road, turning two bends in front of Bhanugachh Road T-Resort.“